কাজের শেষে

পূর্ণতা (আগষ্ট ২০১৩)

দীপঙ্কর বেরা
  • ১৪
কাজের শেষে
ছন্দদীপ বেরা / শ্রেণী-সপ্তম বিভাগ-ক রোল-৬
হাওড়া জিলা স্কুল


মানিক বাবু তার অফিসের কাজের সময় একদম কাজ করতে চায় না । রোজ দেরি করে অফিসে আসেন । বেশির ভাগ সময় চা খেয়ে গল্প করে কাটান ।
প্রতিটি কাজ কিছুতেই তিনি শেষ করতে চাইতেন না । একটু করার পর ফেলে তিনি রাখবেন । পুরো কাজ করে ওঠা যেন তার কোষ্ঠীতে লেখা নেই । তার বসের কাছ থেকে এক-একটা ফাইল আসত । আর সেই ফাইল শুধু মানিক-বাবুর সামনে জমা হত । একটু কাজ করল কি করল না আবার তা বন্ধ করে রেখে দিত ।
মাঝে মাঝেই তার বস তাকে ডেকে পাঠাত । দু-চারটে কথা শুনাত , আর ফাইলের খোঁজ খবর নিতেন । আর মানিক-বাবুর যেন এ সব শোনা আর অন্য কান দিয়ে বের করা অভ্যাস হয়ে গেছে ।
এরকম করে দিনের পর দিন চলে যাচ্ছিল । আর ক্রমাগত ফাইল জমছিল । মানিক-বাবুর ডাক পড়ত আর তেমনি ভাবে শুনেই চলে আসতেন ।
কোম্পানির থেকে তিনি মাসে মাসে মাইনেও নিতেন । তার বদলে খুব কমই কাজ দিতেন । আবার কোম্পানির বস তাকে বের করে দিতে পারছে না । তার কারণ মানিক-বাবুর বাবা । তিনি এই অফিসের জন্য অনেক সেক্রিফাইস করেছেন । সেই সুযোগে মানিক বাবুও নিজের কাজে চূড়ান্ত ফাঁকি দিয়ে চলেছেন ।
এই চাকরির টাকায় তিনি বাড়ি করেছেন , গাড়ি করেছেন । সারা বাড়ি শৌখিন জিনিসে ভরা । মানিক বাবুকে ফাঁকিবাজিতে কেউ আটকায় না , একমাত্র তাঁর স্ত্রী ছাড়া । তিনি মানিক বাবুকে বারবার সতর্ক করেছেন । কিন্তু তিনি শোনবার পাত্র নন ।
একদিন এই নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে গেল । - আজ থেকে ঠিক ঠিক সব কাজ আসবে না হলে কিন্তু এ বাড়ি আর আস্ত থাকবে না ।
- তোমার কি বলতো ? আমি যা ইচ্ছে খুশি করব । তোমার কি ?
- আমার অনেক কিছু । এবং তোমারও অনেক কিছু । ভবিষ্যতের কথা
ভাবো ? ছেলে মেয়ের কথা ভাবো । অফিসে নিজের কাজ করলে ভাল লাগবে । বলো ভালো লাগে ।
-না , ভালো লাগে না । কিন্তু বয়স হয়েছে । এখন শরীর আর পেরে উঠে না । আবার বেশি উপার্জনও দরকার ।
-ওটা তোমার বাহানা মাত্র ।
-তা একদিকে ঠিক । কিন্তু মনের সাথে সাথে শরীরও আর ...
-একদিন সৎ পথে পরিশ্রম করে উপার্জন করে দেখো , সব কাজ পূর্ণ করে আসবে দেখবে কেমন লাগে । মনের বোঝা সব হাল্কা হয়ে যাবে ।
পরের দিন মানিক বাবু নিজের অফিসের সব ফাইল আপ-টু-ডেট করে ফেললেন । বসের সঙ্গে দেখা করে কাজ চেয়ে কাজ সব পূর্ণ করে তবে অফিস থেকে বেরলেন । এইভাবে সারা মাস কাজ করে বেতন নেওয়ার সময় তিনি অনুভব করলেন – তার মন অনেক হাল্কা লাগছে ।
অফিসের অন্যরা মানিক বাবুকে দেখে অবাক হয়ে গেল । বসও বেশ সন্তুষ্ট হলেন ।
সব কাজ কে যেভাবে মানিক বাবু পূর্ণ করলেন তাতে তাঁর মনে যে সুখ ফিরে এসেছে তা বলা বাহুল্য ।।
-০-০-০-০- ১৯.৭.২০১৩
এই গল্পটি আমার ছেলের লেখা । বয়স মাত্র ১২+ । সকলে মতামত জানাবেন ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
ইব্রাহীম রাসেল -ছেলে তো ভালো লিখেছে।--
ধন্যবাদ নেবেন ।
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৩
মিলন বনিক আপনার ছেলের জন্য আশীর্বাদ থাকলো....ভালো হয়েছে...আর লেখার উৎসাহ দেবেন....
রফিক আল জায়েদ ভালইতো লিখেছে, ছেলে-বাবার জন্য শুভকামনা রইল।
মোজাম্মেল কবির ছেলের জন্য শুভ কামনা রইলো।

১৫ জুন - ২০১৩ গল্প/কবিতা: ৬৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪